প্রকৃতিতে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাপের পারদ। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকীয় কার্যক্রম বেড়ে যায়। এর ফলে শারীরিক গোলযোগ দেখা দেয়। শরীরে হরমোন ও এনজাইমের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। গরমে শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। ঘামের সঙ্গে পানি ও প্রয়োজনীয় উপাদান লবণ দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় সচেতন হয়ে কিছু নিয়ম মেনে চললে সুস্থ ও সতেজ থাকা যায়।

চলুন জেনে নেয়া যাক এ সময় করণীয় ও বর্জনীয়—-

১) যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি  সেলসিয়াসে পৌঁছে তখন খুব ঠান্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকগণ। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সঙ্কুচিত হয়ে হঠাৎই স্ট্রোক হতে পারে।

২) যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি অতিক্রম করে তখন ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন। ঠান্ডা পানি পান করবেন না। স্বভাবিক তাপের পানি পান করুন বা ঈষৎ গরম পানি। তাও ধীরে ধীরে।

৩) ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। হাত-মুখ ধোয়ার আগে একটু অপেক্ষা করুন। দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খেতে দিন। অন্ততঃ আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন হাত-মুখ ধোয়ার আগে বা গোসলের আগে।

৪) অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন। জ্যুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। তবে তাও স্বল্প পরিমাণে।

প্রচন্ড গরমে বা যদি আপনি খুবই ক্লান্ত থাকেন তবে ভুলেও বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজের পানি পান করবেন না, যদিও ওই সময় ঠান্ডা পানি খুব ভালো লাগে। এটা শরীরে প্রশান্তি ভাব এনে দেয়। কিন্তু এতে হঠাৎই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তাই নিজে জানুন, অন্যকেও জানান।